মধ্য প্রাচীন প্রস্তর যুগীয় কৃষ্টি ( পিগমিগণ)

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – মধ্য প্রাচীন প্রস্তর যুগীয় কৃষ্টি ( পিগমিগণ)।যা “যুগ যুগব্যাপী নাচ” খন্ডের অন্তর্ভুক্ত।

মধ্য প্রাচীন প্রস্তর যুগীয় কৃষ্টি (পিগমিগণ)

 

মধ্য প্রাচীন প্রস্তর যুগীয় কৃষ্টি ( পিগমিগণ)

 

উপরে যেভাবে সত্যায়িত হয়েছে আমাদের প্রাক্-ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্যর এথনগ্রাফিক্যাল (পৃথিবীর বিভিন্ন জাতির বিজ্ঞান সম্মত বিবরণ) কৃষ্টির বিবর্তন ও স্তর তা অসওয়ার্লড মেন্‌হিনের WORLD HISTORY OF THE GLACIAL ERA গ্রন্থে বুদ্ধিশক্তি সম্পন্নের উপর ভিত্তি স্থাপিত, যা ১৯৩১ খৃষ্টাব্দে ভিয়েনায় প্রকাশিত হয়।

ভিয়েনার পন্ডিতবর্গ অনুসারে মধ্য প্রাচীন প্রস্তর যুগীয় কৃষ্টি যেটা প্রাক্-ইতিহাস যুগের হলেও বর্তমানে এর অন্য অংশ বিদ্যমান, যেটা প্রভাবান্বিত জাতিসমূহের কৃষ্টিতে প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে এখনও অস্তিত্ব বজায় রেখেছে, যেমন মধ্য আফ্রিকায়, এশিয়ায়— আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে ও মালাক্কা এবং নিউ গিনির মধ্য অঞ্চলে।

এই দলের প্রধান বৈশিষ্ট্য অর্জনশীল অর্থনীতি-খাদ্য সংগ্রহ, মাছ ধরা, শিকার-ঘরের পরিবর্তে বাতাস রোধক, মাটিতে কবর দেয়া, এক বিবাহ প্রথা, ব্যক্তিগত সম্পত্তি অর্জন এবং একেশ্বরবাদী, আকৃতিগত অঙ্কন, উল্কী কাটা ও অঙ্গচ্ছেদন তারপরও অবর্তমান।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

পিগমিদের নাচ আমরা পূর্বে বিস্তারিতভাবে অনেক স্থানে বর্ণনা করেছি। আমরা আবিস্কার করেছি, বিশেষ করে আফ্রিকান পিগমিদের মধ্যে এক নির্দিষ্ট ভরপুর উচ্ছ্বাস আছে এবং তারা নাচে প্রতিভাবান বিশেষ করে যুদ্ধ-নাচ, জীবজন্তুর নাচের প্রতি অনুকরণাত্মক গভীর ঝোঁক যেটাতে তাদেরকে আজ পর্যন্ত কেউ ছাড়ায়ে যেতে পারে নাই। সর্বত্রই তাদের সংঘবদ্ধ নাচ ঢিলা গোলকে হয় যাতে নাচুয়ে কাউকে স্পর্শ না করে।

নির্দিষ্ট মূল শিল্পউপাদান একটা, নাচুয়ে নারীগণ একজন পুরুষকে ঘিরে ধরে অথবা একজন মেয়েকে ঘিরে নাচুয়ে পুরুষগণ, যেটা উভয় স্থানে পুরাতন প্রস্তর যুগে ইউরোপে এবং আদিবাসীদের মধ্যে বর্তমানকালেও তার স্বাক্ষর আছে। ইউরোপের প্রমাণের মধ্যে নাম করা যায় পূর্ব স্পেনের লেরিডা প্রদেশের কগোলের পাথরের গায়ে আঁকা ছবি যেটা অন্যত্র বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে, অবশ্য আমাদেরকে ধরে নিতে হবে পরবর্তী স্তরের তথাকথিত নতুন প্রস্তর যুগীয় ব্লেড কৃষ্টির।

কিন্তু এখানে এথ্নগ্রাফি যা বৃদ্ধি ও সংশোধন করতে অবশ্য প্রভাব খাটাবে। এই থিমের পুনরাবৃত্তি শুধুমাত্র কোন একক দলে বা প্রতিবেশী দলে না, দেখা যায় পিগমি লোকজনের মধ্যে যারা পৃথিবীর বড় মহাসাগর দ্বারা বিচ্ছিন্ন, যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার বুশম্যান এবং ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জের নিগ্রীটসগণ, যা আমাদেরকে আরো পুরাতন প্রটোলিথিক কালে (প্লেট-১) এই নাচের (ফরমে) গঠনশৈলীতে বর্ণনা করতে বাধ্য করে।

এখানে আমরা নাচে পাই শুধুমাত্র কোন ব্যক্তি বা কোন জিনিসকে কেন্দ্র করে গোল করে ঘুরা এবং অনুকরাণাত্মক জীবজন্তুর নাচ, এই গ্রন্থের সাজান অংশের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে দুই বিপরীতমুখী ঝোঁক ও মানসিকতার অভিব্যক্তিরূপে যাকে অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী, কল্পনাপ্রবণ ও ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য, অনুমানিক ও স্বতঃস্ফূর্ত হয়ত বলা যাবে।

 

মধ্য প্রাচীন প্রস্তর যুগীয় কৃষ্টি ( পিগমিগণ)

 

কোন জাতি এমনকি কোন ব্যক্তি নাই যার মধ্যে উভয় মানসিকতার কিছু না কিছু নাই কিন্তু কোনটাতে একটা এবং কোনটাতে অপরটা প্রধান্য বিস্তার করে থাকে। একই সময় আমরা কতকগুলি নাচের গুণাবলী আবিস্কার করেছি যা অন্য কিছুর মত মানবিক স্বচ্ছ শ্রেণী বিন্যাস করা যায় না কিন্তু তথাপি যেটা স্বচ্ছন্দে পরিষ্কারভাবে এক রকম থেকে অন্য রকম বুঝা যায়। সাধারণভাবে ভাগগুলি যেভাবে হবে:

বহির্মুখী:

জীবজন্তুর নাচের চর্চা

অসাধারণ নাচের দক্ষতা

জীবজন্তুর নাচের দুষ্প্রাপ্যতা

স্বাভাবিক নাচের ক্ষমতা

অন্তর্মুখী:

দেহ সচেতন ছড়ান নাচ

আকস্মিক ঝাঁকানিযুক্ত নাচ

পূর্ব প্রভাবিত সংঘবদ্ধ নাচ

পূর্ব প্রভাবিত একক নাচ

পূর্ব প্রভাবিত সংঘবদ্ধ নাচ পূর্ব প্রভাবিত একক নাচ উভয় ধরন মধ্য প্রাচীন প্রস্তর যুগীয় কৃষ্টির স্তরে সম্পূর্ণরূপে উন্নতি লাভ করছে এবং তীব্রভাবে পৃথক হয়েছে। প্রথম দলে প্রকৃত পিগমিগণ এবং দ্বিতীয়তে বামন আকৃতির মত ভেড্ডাগণ ।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment