আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – গোলক অতিক্রম নাচ।যা “সারা বিশ্ব জুড়ে নাচ” খন্ডের অন্তর্ভুক্ত।
গোলক অতিক্রম নাচ
যখন দুই কলাম একে অপরের দিকে নাচে সাধারণত উভয় দল একটার পর একটা অগ্রসর হয় অথবা একটা সামনে বাড়লে তখন অন্যটা পিছনে যায়। এই খাঁটি (কাউন্টার) পাল্টা-নাচ ছাড়াও কলাম নাচ হয় যাতে লক্ষ্য থাকে এক ফ্রন্ট বা দল অপর দলের মধ্য দিয়ে যায়।
একই রকমের গুয়ারনীদের কবিরাজ নাচের ভাল বিবরণ আমাদের আছে। “সামনের দিক্ থেকে দুই দলই পরস্পরের মধ্য দিয়ে হেঁটে যায়, প্রাঙ্গনের শেষ প্রান্তে দৌড় দিয়ে যায় যেখানে দ্রুত ঘুরতে হবে এবং একে অপরের প্রতি ধেয়ে যায় আর একবার।

পিছনে পিছনে না গিয়ে উভয় দলের তিনজন নাচুয়ে এক লাইনে দৌড়ায় এবং যেস্থানে তারা ক্রস করে সেই স্থান সংকুচিত বিধায় যে কোন দলকে সহজে অতিক্রম করার সময় বিশেষ ক্ষিপ্রতার প্রয়োজন পরে। নাচুয়েগণ এটা স্বচ্ছন্দে শেষ করে তাদের ধড়কে এক চতুর্থাংশ ঘুরায়ে ডান কাঁধ সামনে রেখে ক্রস করার সময় একদল অপর দলকে অতিক্রম করে”।
একইরূপ টোগোর ড্যাগবামাদের একটা নাচের বিবরণ পাওয়া যায় যেটা গোলক নাচের নির্মাণ কাঠামোতে পরে। ঢোলবাদককে কেন্দ্র করে চারদিকে দুইটা এককেন্দ্রীক গোলক রচনা করা হয়, নাচুয়েগণ ছন্দে ছন্দে উল্টা দিকে চলতে থাকে, কয়েক ধাপ যাবার পর দেখা যায় যারা প্রথমে বাইরের সারিতে ছিল তারা ভেতরের সারিতে দাঁড়ান এবং উল্টাপাল্টা হয়।
যখন তারা ক্রস করে তারা ছোট কাঠি দিয়ে একে অপরের দিকে আঘাত করে। এই খেলার চন্দ্রসম্পর্কিত তাৎপর্য আছে। আমরা ১৭ শতাব্দীর স্পেনীয় ফিগার নাচে তার আবার সাক্ষাৎ পাই : “ভেতরের দিকে দৌড়ান এবং বাইরের দিকে দৌড়ান এবং পরস্পর পরস্পরকে অতিক্রম বা ক্রস করে” – যেটা নির্দেশ করা থাকে। নিকোবার দ্বীপে এই গঠনশৈলীর পরিবর্তে একঘেরের নাচুয়েগণ অন্য হাঁটুতে বেন্ডকারীদের উপরে চড়ে বসে।
আরও দেখুনঃ