সংঘবদ্ধ সম্মুখ নাচ

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – সংঘবদ্ধ সম্মুখ নাচ।যা “সারা বিশ্ব জুড়ে নাচ” খন্ডের অন্তর্ভুক্ত।

সংঘবদ্ধ সম্মুখ নাচ

 

সংঘবদ্ধ সম্মুখ নাচ

 

খাঁটি হর্ষোল্লাসপূর্ণ কল্পনাহীন নাচ যখন অধিকাংশ স্থানে গোল হয়ে নাচা হয় আমরা দেখি অনুকরণশীল নাচুয়ে গণ বারবার লাইন অথবা সারিবদ্ধ গঠনশৈলী তৈরী করে। গোলক নিজের জন্যই করা হয়  এটা পারিপার্শ্বিক জগতের খুবই ঘনিষ্ঠ যেমন দর্শকদের জন্য হর্ষোল্লাসকারী জনগণও বাইরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং তারা “অন্তর্মুখী”।

অন্যদিকে সারিবদ্ধতা যেটা বাইরের দিকে মুক্ত এবং নাচুয়েদেরকে অনুকরণাত্মক নাচে মুখোমুখি একজনের সামনে অন্যজন থাকার অনুমতি দেয়। নাচুয়ে গণ একজনের সামনে অন্যজন আসে তার প্রথম বিষয়বস্তু হল প্রেমলীলা এবং অস্ত্রের লড়াই।

অস্ত্রের লড়াইয়ের জন্যপুরুষের দল দুই শত্রুভাবাপন্ন দলে ভাগ হয়; প্রেমলীলায় পুরুষগণ ও মহিলাগণ রতিক্রিয়ার মূখ-অভিনয় সহযোগে একে অপরের মুখোমুখি হয়। তাদের নাচের মধ্যে হয়তবা অষ্ট্রাল মূল শিল্পউপাদান থাকতে পারে, বিশেষ করে দীপ্তিমান চাঁদ এবং অন্ধকার চাঁদের লড়াই যেটা নিশ্চিত করে যুদ্ধ-নাচের শুধুমাত্র চন্দ্রবিষয়ক রূপান্তর।

গ্রেটবেসিনের উত্তর উটিদের দুই সারির “খোঁড়ান নাচ” এইরূপভাবে ব্যাখ্যা করা যায়, বিশেষ করে এই দৃষ্টিভঙ্গিতে যে, শুধুমাত্র নারী গণ এতে অংশ নেয় এবং “খোঁড়ান” মানুষ চাঁদের মধ্যে আছে এই বৈশিষ্ট্যে অনেক পুরাণ কাহিণী পরিচিত।

যদিও গোল হয়ে নাচা (গোলাক নাচ) বিশ্বব্যাপী সর্বত্র পরিচিত, চতুষ্কোণ কুঁড়েঘর যে কৃষ্টির অংশ মুখোমুখি নাচও সে কৃষ্টিতে সীমাবদ্ধ। মুখোমুখি নাচ দুই উদাহরণে আমরা গোল কুঁড়েঘর অঞ্চলে দেখতে পাই এমনকি বাতাস প্রতিরোধকরূপে— গাজেলী ও অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু আর একবার তার উল্লেখ হয়েছে কোন কোন মুখোশ জোর করে অঙ্কিত করা হয় নিউ আয়ারল্যান্ডে অথবা চতুষ্কোণ কুঁড়েঘর কৃষ্টির নিউগিনিতে।

এই দুই সমান সমান ঘটনা দিয়ে এটা অবশ্যই নিশ্চিতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না যে, গোলক নাচ সব সময় গোল কুঁড়েঘরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। গোলক-নাচ তার বিকাশে গোল-কুঁড়েঘরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিন্তু এটা বর্তমানকালের অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ না।

আদিম কৃষ্টির সম্পদের কারণে পূর্ববর্তী স্তর থেকে পরবর্তী স্তরে গ্রহণ করা হলেও উন্নত কৃষ্টির সারবস্তুর পরিপ্রেক্ষিতে আসন পেয়েছে। তথাপি যেমন আমরা দেখেছি, মুখোমুখি বা সম্মুখ নাচ মৌলিক উৎসবের জন্য শুধু না কিন্তু দারুন পরিব্যাপ্ত বর্তনকালে ও এর নির্মাণ অংশীদার চতুষ্কোণ কুঁড়েঘরের সঙ্গে একীভূত রেখেছে।

বিশেষ করে অধিক আদিম অঞ্চলে চতুষ্কোণ কুঁড়েঘর এবং সারি নাচের সম্পর্ক এক অদ্ভুত সচেতনতার লক্ষ্য নির্দ্দেশ করে । যেখানে একটা অবিচ্ছেদ্য সম্পূর্ণ ঘেরের একক দেয়াল থাকে তারচেয়ে যেকোন স্থানে চারটা দেয়াল (মানুষেরঘের) থাকলে সচেতনতার লক্ষণ খুবই তীব্রতর হয়ে উঠে।

ব্রাজিলের পুরাতন বোরাদের মধ্যে মৃতের উৎসব উপলক্ষ্যে কুঁড়েঘরের চারকোণার প্রত্যেক কোণায় একজন নাচুয়েকে দাঁড় করায়ে দেয়া হয়। ক্যালিফোর্ণিয়ার মাইডুদের হাঁস-নাচে বারজন বা আরো অধিক পুরুষ নাচের ঘরে আগুনের সামনে লাইনে দাঁড়ায় কিন্তু তাড়াতাড়ি দুই দলে ভাগ হয়ে যায়।

নাচুয়ে গণ পদাঘাত করে ও ছন্দে হাত দোলায় যখন একদল আস্তে আস্তে উত্তর দিকে অন্যেরা দক্ষিণ দিকে; তারপর উভয় দল পূর্বের অবস্থানে চলে যায়। এইরূপ চারটা অঙ্গভঙ্গির পর উভয় দল তাদের দিক্ পরিবর্তন করে, আগের উত্তরের নাচুয়ে দক্ষিণ দিকে যায় এবং দক্ষিণ দিকের নাচুয়ে উত্তর দিকে যায়।

রো-নাচে (Roe) ঘরের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে নাচের দল দুটা সমান সমান সমান্তরাল লাইন করে এবং নাচের নেতা তাদের মধ্য দিয়ে পশ্চিম থেকে পূর্বে সামনে পিছনে চলাচল করে এটা চতুষ্কোণ ব্যবহৃত নাচের একটা যথার্থ বিবরণ। কচ্ছপ-নাচে চারজন পুরুষ একসঙ্গে হেঁটে আগুনের উত্তর দিকে যায় চারজন দক্ষিণে, তখন দুই নাচের নেতা তাদের স্থানের জন্য মধ্যখাম্বার কাছের দিকে তাকায়, একজন পূর্ব থেকে উত্তরে যায় তারপর দক্ষিণে অন্যজন সোজা উত্তরে।

এখানে আমাদের পরিস্কার স্থান সচেতনতার প্রতিফলন আছে যা এখন ঠিকই গোলকের কেন্দ্র খোঁজ করে এবং একটা চতুষ্কোণের সম্মুখ বিরুদ্ধতার মধ্যে আন্দোলিত হয়। সেই মত ক্যালিফোর্ণিয়ায় মেয়েদের সূচনার (বয়ঃপ্রাপ্তি) কয়েক ঘন্টা ধরে গোলক বা চক্র নাচের পর নাচুয়ে গণ এক লাইন গঠন করে পূর্ব দিকে মুখ করে হাত ধরে দাঁড়ায়, তারা সামনে পিছনে চলাচল করে কিন্তু তাদের চোখ পূর্ব দিক্ ছাড়া নড়ায় না।

এই তথ্যবিবরণী অনুভবনীয় বস্তুর চারদিক ঘিরে নাচ স্থানান্তরিক হয়েছে অনুভবহীন লক্ষ্যের দিকের নাচে। সম্ভবত লাইন গঠনে অন্য রকমের ধর্মীয় প্রয়োজনীয় অভিব্যক্তি আছে যেটা হাতের কাছের প্রসার থেকে অসীমে সম্প্রসারিত।

সেই একই উৎসর লাইন-গঠনশৈলীর একটা বিষয় উন্মোচিত করে যা দৃশ্যতঃ স্বকীয় চতুর্ভূজ কুঁড়েঘরের, কিন্তু স্বীকার করা হয় যে, চতুর্ভূজের প্রতি দুর্বলতার কারণে নাচে প্রথম বিকাশিত হয়েছে। যখন গ্রামরে লোকেরা গোল হয়ে ঘিরে নাচে গ্রামের বাইরের আগত অতিথিগণ ইন্ডিয়ান (!) কাতারের সামনে অগ্রসর হয়ে থমকে দাঁড়ায় ও তাদের হাতে ধরে রাখা সবুজ শাখা একটার পর একটা বাম থেকে ডানে দোলাতে থাকে।

ইন্ডিয়ান-কাতার থেকে তারা সঠিকভাবে অভ্যাসগত গোলঘেরে খুবই সহজে দোলায়, সত্যি বলতে কি লম্বা সারি থেকে গোল ঘেরে রূপান্তর হর-হামেশায় হয়ঃ নাচের স্থানে কোন কিছু দিয়ে নকশা করা না হলেও চলার লাইন ঠিকই ঘুরে, কোন কেন্দ্রবিন্দু ছাড়াই লাগালাগি গোল চলমান চক্রের পক্ষে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সারির বৈশিষ্ট্য বজায় রাখে।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

কিন্তু ইন্ডিয়ান কাতার অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাচুয়ে গণ সামনে এসে নব্বই ডিগ্রী কোণে ঘুরে তা তৈরী করে । সম্মুখ বা সামনাসামনি গোলের মত প্রায় দুই, তিন, চার অথবা অধিক কলাম বা সারিতে গঠিত হয়—বিশেষ করে পশ্চিমপলেনেশিয়ায় দেখা যায় বিরাট দলবদ্ধ আকৃতিতে, নির্দিষ্ট করে ফিজিদ্বীপুঞ্জের চমৎকার অস্ত্রনাচে যেটা কৃষ্টিগত ভাবে পলেনেশিয়ান ।

আট হাজারেরও অধিক লোক সম্ভবতঃ পুরান ম্যাক্সিকোর আনুষ্ঠানিক বা উৎসবপূর্ণ নাচে অংশগ্রহণ করে। পূর্ব-এশিয়ার বহু সংখ্যক সারির এক বিশেষ তাৎপর্য আছেঃ চীনারে উৎসবপূর্ণ নাচ, একহাজার বৎসর পূর্বে জাপান যা নিয়ে গেছে সম্রাটের জন্য আট সারিতে সাজান, ছয় সারি চীনা জমিদার পুত্রের (রাজপুত্র) চার সারি মুকুট পাবার যোগ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জন্য প্রচলিত এবং কোন সম্মানিত ব্যক্তির প্রতি সম্মান জানাবার জন্য যেখানে যত সারি প্রচলিত তার অধিক ব্যবহার করা শিষ্টাচারের লংঘন বলে বিবেচিত।

কিন্তু সংঘবদ্ধ সম্মুখ নাচেরও অনেকগুলি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে যা গোল-নাচে অভাব আছে। প্রথমতঃ ইয়াপ দ্বীপে, দুই প্রান্তে ছোট বাচ্চাদের দিয়ে সুষম ভাবে সেইমত সাজান হয়, দ্বিতীয়তঃ ঘোড়ার পায়ের মত অর্ধ গোলাকার সাজে অনেকগুলি সারি, তৃতীয়তঃ ক্যারোলীন দ্বীপপুঞ্জের অনেক তালা উঁচু নাচের সেতু যেখানে নাচুয়ে গণ তাদের বর্ণাঢ্য সাজসজ্জায় অবস্থান নেয় এবং তাদের সুসজ্জিত ধড়, বাহু এবং মাথা নাড়ায়ে নাচতে থাকে ।

পোনাপিতে সাধারণ উৎসব নাচ উইন “ যা মৃতের সম্মানে অথবা ধর্মীয় প্রয়োজনে যে কোন সময় নাচা যায়। যখন দর্শকগণ নীরব থাকে নাচুয়ে গণ মালা পরে শরীর তেল সিক্ত করে পবিত্র শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে একে অপরের পিছনে নাচের paj সেতু তৈরী করে অনেক নিভৃত গল্প রচনা করে।

শ্রদ্ধার উৎসবের জন্য তারা বসে পরে, গানের নেতা যাকে সম্মান জানানো হবে তার নাম বলে কিন্তু একই সময় উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নাম একটার পর একটা বলতে ভুল করে না। নাচুয়ে গণ উঠে পড়ে। গানের নেতা গান শুরু করে একটু কর্কশ, গম্ভীর কন্ঠে, সমবেত গান মিলিত হয় এবং গান চলতে থাকে।

তীক্ষ্মস্বরে এবং বেসুরে কিন্তু এটার মধ্যে শব্দকে হারমানায়। যেই মাত্র গান বন্ধ হয় নাচ শুরু হয় । নাচুয়ে গণ মেঝের বোর্ডে ছন্দে ছন্দে পা দিয়ে আঘাত করে এবং তাদের হাতদুটা শিল্পসম্মতভাবে সামোয়ার শিবের মত নাড়ায়। উইন দক্ষিণ-সাগরের নাচের মধ্যে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাচ” ।

ইউরোপীয়ানগণ বিশেষভাবে ঐ ধরনের নাচের দলের প্রতি আকৃষ্ট যাতে, যেমন স্পেনীয় অঙ্গভঙ্গির নাচ এবং নির্দিষ্ট করে ইংলিশ কানট্রি নাচুয়ে গণ একে অপরের মুখোমুখি হয় দুই সারিতে এবং শান্তভাবে অথবা অন্যভাবে সহজে সামনে চলে একত্রিত হয়ে এবং পিছনে ফেরে অথবা আরো অধিক কঠিন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে। এই সকল নাচে কানট্রির মূলভঙ্গি শুধু প্রত্যাশিত না বরং এর অঙ্গভঙ্গির বৃহৎ অংশ সেই সঙ্গে বঞ্চিত ।

উত্তর-আমেরিকার উটিদের লম্বা সারির ঘোড়া-নাচ আমরা এর মধ্যেই দেখেছি, যা ইন্ডিয়ান কাতারে সামনে বাড়ে তারপরে একই সময় ভেতরের দিকে ঘুরে এবং একটু বিরতি দিয়ে পিছনে চলে। পচ্চ এর লেখা অনুসারে নিউগিনির নেলসন অন্তরীপে জনপ্রিয় নাচের ভঙ্গি হল “বাইরের সারি ভেতরে ঘুরান” । স্পষ্টতই এটা একই গঠনশৈলীর বৈচিত্রতা।

কঙ্গোর বালোকী, রোডেশিয়ার বা-ইলা ও তুর্কিস্থানের পূর্বঞ্চলের লোকজনের মধ্যে একসঙ্গে নাচার জন্য এক যুগলের পর অপর যুগল কলাম (সারি) ভেঙ্গে ফেলে এবং নিউগিনির পাপুয়াগণ, নিউ ক্যালিডোনিয়ানগণ এবং ইয়াপের লোকজন নাচে জটিল অঙ্গভঙ্গি গঠন করে খুবই নৈপূণ্য ভাবে। যেকেউ নিউগিনির অরকাওয়াদের চক্রসমূহ অনেক বৈচিত্রময় এমনকি শিকলের মত দেখা যায়। নাগাদের কিওউরে জনগোষ্ঠির পাল্টা নাচে ছয় ঘুরা আছে, ইউরোপীয়ানদের ডবল কলাম নাচে হুবহু একই নাচ হয়ঃ

(১) কলামের ক্রসিং (পরস্পরের সামনাসামনি অতিক্রম) (২) পিছনে ঘুরা (৩) শিকল তৈরী (৪) সাপের মত লাইন (আঁকাবাঁক) (৫) বড় গোলক বা ঘের (৬) দুটা ছোট গোলক এবং পূর্বের বা প্রথম অবস্থানের লাইনে ফিরে আসা। এটা হল সপ্তদশ শতাব্দীর স্পেনীয়দের (ফিগার) আকৃতিগত নাচ সাজানর ব্যবস্থা অথবা ইংরেজদের আঞ্চলিক বা গ্রাম্য নাচ ।

যে নাচে পুরুষগণ এক সারিতে দাঁড়ায় এবং নারী গণ অন্যটিতে এবং একে অন্যের বিপরীত দিকে প্রেমলীলার (রতিক্রিয়া) অঙ্গভঙ্গিতে নাচে যেটা খুবই পরিব্যপ্ত এবং সম্ভবতঃ সুনির্দিষ্টরূপে প্রটোনিওলিথিক কৃষ্টির স্তরে শ্রেণী বিন্যাস করা।

১৮৩৫ সালে সিমপার লেখেন যে, সিনাই উপদ্বীপের বেদুইনগণ সূর্যডোবার দুই ঘন্টা পরে তারোকালোকের আলোআঁধারি ক্ষণে প্রধান উৎসব শুরু করে। পুরুষগণ ও নারী গণ দল গঠন করে পরস্পর একসঙ্গে যুক্ত করে মধ্যস্থলে গান গায় ও হাততালি দেয়।

নারী গণ কালো পোষাকে সজ্জিত এবং মুখাবরণ গভীরভাবে সংযুক্ত, কানট্রি নাচ যেমন খিলানের মধ্যেসম্মুখে নাচে, সংযোগের দুইপ্রান্ত শিল্প সৌন্দর্যহীন কিন্তু স্বাভাবিক সুষমামন্ডিত; তাদের নাচ মার্জিত, আন্তরিক এবং সত্যিকারের সৌন্দর্যমন্ডিত।

 

সংঘবদ্ধ সম্মুখ নাচ

 

তারা তাদের স্থান থেকে সামনে যায়, পিছনে আসে এবং বিপরীত দিকে, উপর নিচে অনেক শিষ্টাচারের মধ্যে বেন্ড করে। দুইজন নারী লাইন সংযোগ ছেড়ে স্থান নেয় বিশেষ নাচের চক্কর দেখাতে যেটা সমস্ত উৎসবের মধ্যে খুবই পবিত্র ও ঐশ্বর্যময় (মর্যাদা সম্পন্ন), এই নাচুয়েদ্বয় অন্য দলবদ্ধ নাচুয়েদের থেকে ক্রমাগত তাদের অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তন করে এবং তাদের অবস্থানে চির নতুন সুষমার চমক লাগায় ।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment