যৌন প্রতীক

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – যৌন প্রতীক।যা “সারা বিশ্ব জুড়ে নাচ” খন্ডের অন্তর্ভুক্ত।

যৌন প্রতীক

 

যৌন প্রতীক

 

যুগল-নাচ উভয় লিঙ্গকে সম অবস্থানে রেখে শেষ করে, যুগল-নাচেকে পৃথক রেখে সাধারণভাবে নাচ নারী-পুরুষের স্বাভাবিক পদমর্যাদার প্রশ্নের অবতারণা করে । পুরুষের নাচ নারীদের নাচের সংখ্যাকে অনেক ব্যবধানে রাখে। পুরুষগণ একাকী শিকার, যুদ্ধ ও সূর্য-নাচ এবং প্রায় সব

সময় জীবজন্তু, আত্মা এবং বালকের সূচনা-নাচ প্রদর্শন করে। তা’ছাড়াও তাদের বৃষ্টি ও কবিরাজ নাচ ফকিরতান্ত্রিক কৃষ্টিতে আছে যাতে ফকিরতন্ত্র মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন হয়। টোটেম বিশ্বাসী ও ভিন্ন গোষ্টীতে বিবাহ প্রথার মাতৃতান্ত্রিক সমাজগুলিতে পুরুষের কতক নাচ স্বর-যন্ত্রের মত (ষাঁড়ের গর্জন, বাঁশী ও টিউব) যা অদ্ভুত ভাবে পুরুষের সম্পত্তি নারী গণ তা কখন চোখেও দেখে নাই।

অন্যের অধিকার খর্ব করায় মৃত্যুদন্ড আরোপ করা প্রথা হয়নি যা খুববেশী হতে পারে “জন্তু” মধ্যখানে অনধিকার প্রবেশকারীকে “খেতে” পারে। ক্যালিফোর্ণিয়ার মাইডুদের মত প্রান্তিক কৃষ্টিতে পুরুষগণ এত সহনশীল যে, তারা নারী ও শিশুদের নাচ-ঘরের বাইরে থেকে নাচ যতটুকু দেখা যায় তা দেখতে অনুমতি দেয় এবং অস্ট্রেলিয়ার অরুনটাগণ তাদের নারীদের কাছে সহজ দাবী করে যে তারা ঘুমের ভান করবে। তথাপি শুধুমাত্র অল্প কতক উদাহরণে এই নাচে যৌন তাৎপর্য পাওয়া যায় ।

নারী গণ খুব অল্প বা বলতে গেলে কোন অংশই নেয় না শিকার, যুদ্ধ ও সূর্য-নাচে তারপরও অনুল্লেখযোগ্য ভাবে জীবজন্তুও মুখোশ-নাচে অংশ নিতে অনুমতি দেয়া হয়। নারীদের নাচ বিশেষ চিন্তা-চেতনার পূর্ব-নিয়ন্ত্রিত নারী সুলভ শাসনাধীন এবং রোপণ কৃষ্টির ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত।

এই কৃষ্টির কাঠামোতে প্রায় নারী গণই শুধুমাত্র উর্বরা-নাচে অংশগ্রণকারী – বৃষ্টি- আবাহন, ফসল কাটা, মেয়েদের পবিত্রকরণ ও মহিলা ফকিরগীরি, জন্ম ও চাঁদ-পূজা। তাদের প্রায় ধর্মীয় প্রথায় শোক- পালন ও খুলিশিকার-নাচের অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকে, যদিও শোক-পালন ও খুলি-শিকার মাতৃতান্ত্রিক কৃষ্টিপূর্ব বৈশিষ্ট্যের।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আমরা এখনও প্রাচীনকালের হারজের গ্রাছট্যঞ্জের নারীদের বিশেষ অধিকার ও ইফিলের খ্রীষ্টান ধর্মে দীক্ষার নাচ স্মরণ করতে পারি।পুরুষদের মত নারীদেরও নাচ আছে যা থেকে অন্য লিঙ্গের লোককে বাদ দেয়া হয়। কোন পুরুষ আইন ভঙ্গ করলে হয়ত বা অন্ধ করে দেয়া অথবা এমকি মৃত্যুদন্ড হতে পারে।

কেউ হয়ত মনে করতে পারে আমাদের এইরূপ নাচ সম্বন্ধে খবরাখবর দূর্বল। তথাপি আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিবরণ আছে যেগুলি একত্রিত করলে উর্বরা যাদুমন্ত্রের লক্ষ্যের দিকে নেয়, যা যৌন ক্রিয়া প্রতিনিধিত্ব করার মত দূরত্বে যেতে পারে এবং প্রায়ই যতদূর সম্ভব introductio phalli পর্যন্ত।

উদাহরণস্বরূপঃ উচ্চস্তরের কতক কৃষ্টির কম্বোডিয়াতে এবং ইসলামের কতক অংশে শুধুমাত্র নারী গণ পেশাদার নর্তকী হবার অনুমতি পায়। অন্যদিকে অনেক দেশে, বিশেষ করে মধ্য ও দক্ষিণ-আমেরিকায় নারীদের নাচ কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

ব্যতিক্রম যে, সায়াপো ও ক্যাজাবা জনগোষ্ঠীর মত এটা সত্য না । শুরুতেই প্রধানতঃ পুরুষেরা নাচত। ভেড্ডাগণ (যারা কম করে হলেও অন্য কৃষ্টির দ্বারা প্রভাবন্বিত না) ইন্দোচীনের মিওগণ, সুমাত্রার ভেড্ডোইডস ও ক্যালির্ফোণিয়ার ইয়ুকগণ নারীদের নাচতে অনুমতি দেয় না। নিগ্রো পিগমিদের মধ্যে নারী গণ নাচতে পারে কিন্তু কখন পুরুষদের সঙ্গে না ।

মিশ্র-নাচের কোন সুনির্দিষ্ট সীমানা নাই। সাধারণভাবে আমরা বলতে পারি যে, মিশ্র-নাচ মৌলিককৃষ্টির স্তরে দেখা যায় না এবং যা পূর্ব-নিয়ন্ত্রিত পুরুষাঙ্গিকের তবে টোটেম বিশ্বাসী উপজাতীয় জনগোষ্ঠীয় কৃষ্টির মধ্যে তা সাধারণতঃ থাকে না। এটা প্রধানতঃ দেখা যায় পূর্বনিয়ন্ত্রিত নারীসুলভ বপনকারীদের মধ্যে এবং পরে কৃষকের সন্ত্রান্ত কৃষ্টির উপরে উচ্চস্তরের কৃষ্টিতে ।

এরই মধ্যে উচ্চ একেশ্বরবাদী ধর্মসমূহ— ইহুদীবাদ, খ্রিষ্টান ধর্ম ও ইসলাম হয়তবা মিশ্র নাচ নিষিদ্ধ করেছে অথবা কঠোরভাবে তা অস্বীকার করেছে। মধ্যযুগের ইহুদি পুরোহিত শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন ও বাপ-মেয়েকে একসঙ্গে নাচতে অনুমতি দিত, ইহুদি বিয়েতে ১৭ শতাব্দী পর্যন্তও নারী-পুরুষ পৃথকভাবে নেচে গেছে।

 

যৌন প্রতীক

 

এটা ছিল ১৬৬৫ খৃষ্টাব্দ সামইয়ারনাতে Smyrna মুর্তিভঙ্গকারী সাবাতাই জিউই Sabatai Zewi নামে মিথ্যা মেছির Messianh আগমনের সময়, যখন নারী-পুরুষ একসঙ্গে নাচতে থাকে, যা ছিল “যুগের মধ্যে সর্ব প্রথম” সুচিন্তিত প্রথাভঙ্গ ।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment