আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – উভয় ধরনকে অতিক্রমণ।যা “সারা বিশ্ব জুড়ে নাচ” খন্ডের অন্তর্ভুক্ত।
উভয় ধরনকে অতিক্রমণ
আমাদের অনুসন্ধান এইরূপ অগ্রবর্তী হয়েছে যে, দুই মৌলিক নাচের বৈশিষ্ট্য কল্পনাহীন নাচ এবয় কল্পনাপ্রবণ নাচ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এবং মানুষের এই বিপরীত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মানুষের অলৌকিক জীবনবোধ এবং কৃষ্টিগত গঠনশৈলী সম্পর্কযুক্ত।
আমাদের সার্ভে মধ্যে কখন কখন বন্ধ করতে বাধ্য হই এবং নিজেরা নিজেদের জিজ্ঞাসা করি কোন আলোচনার মধ্যে কোন উদাহরণ উল্লেখ করতে মৌলিক বৈশিষ্ট্যের খাঁটিত্ব যথার্থ প্রতিফলিত হচ্ছে কিনা অথবা এটা বা অন্য বিদেশী ব্যাপার নিয়ন্ত্রণ ছাড়া প্রবিষ্ট না হয় এবং বিকৃতি এটার যথার্থ তাৎপর্য রক্ষা করতে পারে কিনা।
তবে কিনা প্রত্যেক লোক, ও ব্যক্তি, রক্তধারায় বহির্মুখী এবং অন্তর্মুখী কিছুনা কিছু বহন করে, শারীরিক ভাবে এবং বিমূর্তভাবে, বিবেচনার সঙ্গে এবং অবিবেচনার সাথে, এইরূপ দ্বন্দ্বের বাইরে সর্বক্ষণ লক্ষ্য পরিবর্তনের বাইরে আমরা কি আমাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারি না?
এই রকম কোন জাতিই পৃথিবীতে নাই যারা শুধু নিজেরাই জীবন ধারণ করতে সক্ষম এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে সমস্ত যোগাগোগ রুদ্ধ করে দিয়ে আদিম যুগে বা প্রাগৈতিহাসিক কালোও কোন জাতি ছিল না। সম্পূর্ণ আবমিশ্র বা স্বতন্ত্র রক্ত, দৈবশক্তি এবং কৃষ্টি এই শর্তে কখন কোথাও আজ পর্যন্ত আমাদের জানামতে কোন জাতির অস্তিত্ব নাই।
এই মিশ্র প্রক্রিয়া আপনা আপনি সংঘটিত হয়েছে, প্রতিবেশী জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ, স্থানান্তর, স্থান দখলে সমস্ত কৃষ্টির প্রত্যেক পরিব্যপ্তি ঘটেছে এবং মানুষের কোন পরিবারই একে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয় নাই । সেই একই পথে ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে।
যুক্তিবাদী বৈষয়িক মনোভাবাপন্ন অন্তর্মুখী লোকেরা এবং যুক্তিহীন অলৌকিকবোধাপন্ন এমনকি আদর্শিক মনোভাবাপন্ন বহির্মুখী লোকজন অবশ্যই একটা মিশ্র ধারক হবে যাতে একের বা অন্যের পূর্বচিন্তাচেতনার প্রভাব পার্থক্য করা অসম্ভব, যেমন নাচে তেমনিই কৃষ্টির অন্যান্য বহির্প্রকাশের ধারায় ।
নির্দিষ্ট করে অনুকরণাত্মক নাচ সম্পূর্ণ অবিমিশ্র ভাবে যুক্তিবাদী হতে পারে না এবং শরীরে সংশ্লিষ্ট হয় না, কারণ সকল নাচ, যেমন নাটক, একজন ব্যক্তি তার সহজাত প্রথাগত মননশীলতা অন্য জগতে বিস্তৃত করে।
শিশু অবস্থায় রাস্তায় খেলারত শিশু দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয় কারণ সে চলন্ত গাড়ী আসা দেখতে পায় না অথবা সে তার মায়ের ডাক শুনতে পায় না কারণ এটা তার জ্ঞান অনুধাবন করতে পারে না, সেই রকম নাচে বুঝার ক্ষমতা দূর্বলতর হয়ে পরে এবং এমনকি সম্পূর্ণভাবে বোধহীন হয়ে পরে। অনুকরণাত্মক সহ প্রত্যেক নাচই হর্ষোল্লাসপূর্ণ এবং এই আনন্দোল্লাসপূর্ণতা কমবেশী জোরের সঙ্গে শুধুমাত্র শারীরিক অনুকরণ বাদ দিয়ে মার্জিত যৌক্তিকতা ছেড়ে কল্পনাহীন অন্তর্মুখী লোকের নাচে নিয়ে যায়।
আরও দেখুনঃ