আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – উভয় ধরনকে অতিক্রমণ উর্বরা নাচ।যা “সারা বিশ্ব জুড়ে নাচ” খন্ডের অন্তর্ভুক্ত।
উভয় ধরনকে অতিক্রমণ উর্বরা নাচ
সিয়াক্স ইন্ডিয়ানগণ পানির পাত্রের চারদিকে চারবার ঘুরে নাচে তারা সেটা মাটিতে নিক্ষেপ করে তারপরে উপর থেকে পানি পান করে। নিউগিনির মুনুম্বোপাপুয়াদের মধ্যে পানির পাত্রের চারদিকে দু’জন মুখোশধারী লোক নাচে তখন মহিলাগণ তার চারধারে ভিড় জমায় এবং লোভাতুর চুমুকে শেষ করে।
উভয় নাচই বৃষ্টি আবাহনের জন্য–পার্থক্য যেগুলি আমরা অন্তর্মুখী অথবা বহির্মুখী কৃষ্টিতে সম্মুখীন হয়েছি। উত্তর-পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার বৃষ্টি-আবাহনকারীগণ একটা যাদুর পাথরকে ঘিরে নাচে; টোটেম বিশ্বাসী অরুন্টা পাখা-নাচের মাধ্যমে বৃষ্টি আনার বাতাস বওয়ায়। উভয়েই একই লক্ষ্যে অন্বেষণ করে, পূর্বেরজন কল্পনাহীন বৃত্ত-নাচে পরেরজন অনুকরণাত্মক ক্রিয়াকলাপে।
সিয়াক্স ও মনুম্বোদের নাচের পদ্ধতি ঐক্যবদ্ধঃ কল্পনাহীন নাচে বৃত্তরচনা বিদ্যামান কিন্তু বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু মূখাভিনয়ের সাহায্যে বিষয়বস্তুকরণ হয়েছে। বৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে একপাত্র পানি এই দৃষ্টিভঙ্গির সমাধান খুব স্বাভাবিক ও নীরবে ঘটেনি। পরবর্তীতে খুঁড়ে বাহির করার ভঙ্গির স্বপক্ষে পাত্র এবং কদর্য পানি পান ক্রিয়া পরিত্যক্ত হয়, যেটা নাচের দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই সমৃদ্ধ।

মেয়েটা নম্রভাবে নিচে মাটির দিকে বেন্ড (নাচের বিশেষ টিকনিকাল শব্দ) হয়, যখন সে পুনরায় উপরে উঠতে থাকে তার হাত দুটা একসঙ্গে থাকে যেন সে থাল উঠাচ্ছে, এটা নাচের ফরম যেটা আজ সমস্ত নাচের মেয়েরা ব্যবহার করে। প্লেট -৮ এ প্রাচীন মিশরের এক আকর্ষণীয় বিশদবিবরণ আছে। কিন্তু (মাটি) খুঁড়ে বাহির করার মূলশিল্প উপাদানের মধ্যে সেখানে একটি নতুন অধ্যায় আছে : (সতী) পবিত্র যুবতী ধর্মীয় উর্বরা ক্ষমতার চিন্তাধারার ফসল ।
প্রতিটি নতুন সমন্ধে সঙ্গে মূলশিল্প উপাদান একত্রিত হয় : কল্পনাহীন বৃত্ত, নতুন পাতার সাজসজ্জা, ধর্মীয় প্রথার উৎসবে নগন্নতা, বৃষ্টি আবাহনের জন্য পানি ভরা, কুমারীর শক্তি, বাতাস বওয়ার জন্য লাট্টু-নাচ এবং যেমন প্রচলিত লিঙ্গ-পূজা উর্বরাশক্তি আকর্ষণের পন্থা ।
ফিজিয়ানগণ গভীর কূপের পাশে দাঁড়ায়ে মাথা দোলায় মাথার লম্বা ঘাসের গুচ্ছের ঝালরের সাজ আঘাত করে এবং মহিলাগণ তাদের খোলা পিছনের অংশে ঠান্ডা পানি ঢালে। ম্যাক্সিয়ান হোপী ইন্ডিয়ানদের মাটিরপুরান সুন্দর জ্বালায় (প্লেট-৬) আর্কা দেখা যায় যে, ইয়াইফেলিক (লিঙ্গ প্রতীক দত্ত বহনকারী ধর্মীয় অনুষ্ঠান) বুঝে অংশগ্রহণকারী পানিতে ভিজে যখন তারা নাচে।
লিঙ্গ-প্রতীক বাতীত আজকের দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে সমস্ত সৃষ্টি-নাচে সব মূলশিল্প উপাদান ব্যবহৃত হয়ঃ অনাবৃষ্টির সময় একদল হয়ে কুমারী মেয়েরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে। তাদের মধ্যে একজন না কিন্তু ঘাস, পাতা এবং ফুল দিয়ে সজ্জিত করা থাকে সে তাদের ঘেরের মধ্যে ক্রমাগত ঘুরতে থাকে এবং গৃহবধূদের তার উপর পানি ঢালতে নেয়।
এই প্রথা সমা বলকান অঞ্চলে পরিচিত, দক্ষিণ স্লাভদের মধ্যে ডোডোলো রূপে, বুলগেরিয়ান, রুমানিয়ান, এরোমান এবং জীবনের মধ্যে কিন্তু এটাও বিস্তৃত সিবেন বারজন, মলদাও, জার্মানী এবং এমনকি ইংল্যান্ড পর্যন্ত এবং বাটাদী লেখক গল্প করেন যে, শৈশবে প্লাবাসে তিনি তাৎপর্য না জেনে এক রকম নাচে অংশ নেন যাতে শুধু পানি ঢালা ছিল না।
আরও দেখুনঃ