উভয় ধরনকে অতিক্রমণ অস্ত্র নাচ

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – উভয় ধরনকে অতিক্রমণ অস্ত্র নাচ।যা “সারা বিশ্ব জুড়ে নাচ” খন্ডের অন্তর্ভুক্ত।

উভয় ধরনকে অতিক্রমণ অস্ত্র নাচ

 

উভয় ধরনকে অতিক্রমণ অস্ত্র নাচ

 

আপার বার্মার খাসীগণ খোলা জায়গার চারদিকে এক পা থেকে আর এক পায়ে আস্তে এবং খুবই অস্বাভাবিকভাবে ট্রিপ দেয়। কখন কখন তারা হর্ষোল্লাসে চিৎকার করে এবং থেমে যায়; জোড়ায় জোড়ায় ভাগ হয়ে পরস্পর পরস্পরের দিকে লাফ দেয় এবং তরবারি দিয়ে আঘাত করে, তারপর উচ্চস্বরে চিৎকারে তারা লাইনে ফিরে আসে এবং ক্রমাগত ঘুরতে থাকে ।

সুতরাং এই নাচে যুদ্ধের মূখাভিনয় কল্পনাহীন পটভূমির উপর পরবর্তী কালের সংযোজন। সম্পূর্ণ সেই একই পথে মেলেনেশিয়ার লয়েলটি দ্বীপে বিভিন্ন কৃষ্টির ধারা সংমিশ্রিত সেখানে আমরা দেখতে পাই বৃত্ত (সার্কেল এবং অন্য ফরমেশন, অনুকরাণাত্মক এবং অনুকরণহীন একই নাচে (একত্রত) যুক্ত, প্রথমে পুরুষ যুদ্ধের জন্য সেজে দ্রুত দুই চক্কর দেয়; তারপর জীবজন্তুর স্বরে একে অন্যের উপর ছোঁ মেরে ধরে।

মুখাভিনয় পরিবর্তিত হয়ে পরবর্তী ইউরোপের নাচের ফরম নির্ধারিত হয়েছে এবং গান-বাজনার জন্যও প্রধান মূলের অবস্থানই এখানে। এটার ক্ল্যাসিকূল ফরমই তরবারি নাচ । তরবারি নাচ ইউরোপের লোক-কৃষ্টিতে সঠিক ধারণা নিয়ে প্রবেশ করলেও, চতুর্দশ শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে বিকাশ লাভ করে। এটার উৎস প্রাচীন রোম হলেও তখন থেকে এটার ঐতিহ্যগত এক উল্লেখযোগ্য ব্যবধান আছে।

উনবিংশ শতাব্দীতে এটার গুরুত্ব এত লোপ পায় যে, ১৮৫০ খৃষ্টাব্দ থেকে এটা শুধুমাত্র স্মৃতি-স্বারক রূপে রক্ষিত হয়েছে। প্রত্যেক বছর অথবা কখন কখন বলতে গেলে সম্ভবতঃ শ্রোভ টুইজডেতে একদল অবিবাহিত যুবক কোন নির্দিষ্ট বণিক সংঘের অংশগ্রহনকারী সদস্যবৃন্দ তরবারি নাচের জন্য এসসঙ্গে মুক্তস্থানে একত্রিত হয়, কম করে হলেও সংখ্যায় ছয়জন কিন্তু প্রায় দেখা যায় কম হলেও চল্লিশজন এবং পুরাতন নুরেনবার্গে দুইশত জনের অধিক।

যতজনই হোক তারমধ্যে একজন অথবা দুইজন নাচের নেতা এবং একজন “ ফুল” বা হাবা থাকে। কখন কখন তাদের মুখ কালো রং করা থাকে এবং প্রায় সব সময় তারা সাদা পোষাকে থাকে তার উপরে ঘন্টা লাগান হয় এবং তাদের হাতে তরবারি থাকে।

ছোট বাশি এবং ড্রামই মাত্র সাধারণ বাজনা। শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উৎসবরূপে নাচ উন্মুক্ত করা হয়; এটা কৃত্রিম পদক্ষেপের অঙ্গাভঙ্গি, চক্কর, চার আকৃতি, শিকল, সর্পিল লাইন, সেতুর মত বাবান, তোরণের মত উচ্চ এবং তরবারির উপর দিয়ে লাফানোর মত করে কম্পোজ করা হয়। এটার পরে আসে মধ্যঅংশে সত্যিকারের তরবারি নাচ ।

উপসংহারে থাকে “গোলাপ ফুল” যেমন মিসেক এখনও বিশ্বাস করে এই নামটা ফুলের থেকে নেয়া হয়নি কিন্তু পরিস্কার বুঝা যায় পুরান লিউট বাদ্যযন্ত্রের “রোজ” মিডিল হাই জার্মান শব্দ রেজ থেকে নেওয়া যার অর্থ বুনন করা; নাচুয়েগন তাদের তরবারি দিয়ে নিপূণভাবে টাইট বুনন দিয়ে জালের আকৃতি করে মাটিতে রাখে এবং এর চারপাশ ঘিরে নাচে অথবা উপরে তুলে— কম করে হলেও শেষের আকৃতিতে যাতে করে নাচের নেতাকে বহন করতে হয় বিজয়ী বীর হিসাবে।

কখন কখন তারা ‘ফুল’ বা হাবাকে হত্যা করা সংযোজন করে এবং প্রায় তার পুনরুথান সংশিষ্ট রাখে। সমস্ত উৎসব অনুষ্ঠানটি বিশেষ কৌশলপূর্ণ যুদ্ধের, ঘের নাচ এবং সালামের মধ্যে শেষ হয়”।তরবারি নাচের অর্থ কখন কোথাও জানা যায়নি। মূলশিল্প উপাদান থেকে আলাদা করে একটু কষ্ট করে তবু এটা নির্ধারণ করা যেতে পরে।

আমরা দেখেছি যে, অস্ত্র-নাচ শুধুমাত্র যুদ্ধবিগ্রহের বৈশিষ্ট্যময় না, কিন্তু এটা দুটা বৰ্দ্ধিষ্ণু শক্তিকে একত্রিত করে, না বোধক তথা প্রতিরক্ষা মূলক এবং হ্যাঁ বোধক বংশ বৃদ্ধির ক্ষমতা (বা পুরুষাঙ্গ প্রতীক)। আরও সাদা রং এর পোষাক, এবং কালো রং মাখা মুখমন্ডল, ঘুংঘুর ঝুলান, ‘হাবা’র চরিত্র, মৃত্যুর দৃশ্য এবং পুনর্জীবন এবং আমরা সব শেষে দেখব নাচুয়েদের জঠ পাকান লাইনগুলিসহ সব কিছুই ফসল ফলান উৎসবের অভ্রান্ত বৈশিষ্ট্যময়।

এই বাস্তবতা এককভাবে এটার মূল উৎস প্রাগৈতিহাসিক কাল স্থির করে। একই সময় এটাতে ইন্দো-জার্মান অথবা ইউরোপীয় বিষয়-বস্তুর অস্তিত্ব বিদ্যমান ধারণাকে ধুলিসাত করে দেয়।এইরূপ সংকীর্ণ চিন্তাধারা নেতাকে বিশেষ স্তরে উত্তোলন করাতে ভ্রান্ত ধারণার জন্ম দেয়। আমরা পড়েছি যে, ওয়েষ্টফালিয়ার বিল্ক শহরে খামার বাড়ীর বিরাট প্রবেশ-মুখের ভিতর দিয়ে তরবারি নাচুয়েগণ হেঁটে যায়।

“এইরূপ করার সময় তারা চারটি তরবারি একটার উপর আর একটা ক্রস ভাবে রেখে তারার ডিজাইন তৈরী করে। ড্রামের সংকেত অনুসারে নাচের নেতা ক্রস করে রাখা তরবারির উপর দিয়ে লাফ দেয়। তারপর ড্রামের তালে তালে তরবারি নাচুয়েগণ তাদের নাচের নেতাকে উপরে নিচে উঠা-নামা করায় অনেক বার। তারপর আবার ড্রামের সংকেত শুনে জোরসে ধাক্কায় তাকে উপরে নিক্ষেপ করে একেবারে খোলা সিলিং এর (বাড়ীর ক্রস বীমের) কাছাকাছি।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

একটা বিরাট লাফ।ক্রসবীমে থাকে অনেক সসেজ (মাংসের কাবাব বিশেষ) বেকনের (লবণজাত শুকরের মাংস) একটা অংশ, অথবা খাবারের সামগ্রী ঝুলান থাকে। -যদি নাচের নেতা দক্ষ হয় লাফ দেবার সময় কিছু না কিছু সে হস্তগত করতে পারে । অনেক সময় নাচের নেতা কিছুক্ষণের জন্য বীমে অবস্থান নিলে নিচে নাচুয়েগণ ড্রামের তালে তালে গোল হয়ে নাচে।

যতক্ষণ না তারা প্রবেশ মুখের পূর্বের স্থানে পুনরায় অবস্থান না নেয় নাচের নেতা উপর থেকে নামেন না যতক্ষণ তরবারি নাচুয়েগণ তাকে না ধরা পর্যন্ত। “মিসেক এই সকল ফিগার (অঙ্গভঙ্গি) কে যখন বলেন” অদ্ভুত অসভ্য গঠনশৈলী, অসংযত জঙ্গী প্রকাশভঙ্গি এবং সত্যিকার সাহসী” তিনি অবশ্যই ঠিক বলেন। কিন্তু অস্ত্র-নাচে বাস্তব চাবিকাঠি কি সত্যিকার ভাবে সংঘঠিত হয়।

দেখা যায় অস্ত্র-নাচে আদিমকালের লাফের ব্যবহার যেখানে যতউঁচুতে সম্ভব লাফান হয়। পূর্বে আমরা উল্লেখ করেছি আফ্রিকার এঙ্গোনী এবং ইন্দোনেশিয়ার আফ্রিউরোদের উদাহরণ, এই দুটা ছাড়াও আমরা তৃতীয় উদাহরণ হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যরনজাদের যোগ করতে পারি। সুতারাং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আদিম জনগোষ্ঠীর উচ্চ লাফ (হাইজাম্প জোরাল বৃদ্ধির ঝোঁকই মূলশিল্প উপাদান।

বিল্কের ঘের-নাচ প্রমাণ করে যে, নাচের নেতাকে উত্তোলন করা এটা ছাড়া আর কিছু নাঃ লাফ শুধু একবারই দেয়, কিন্তু যখন “কেউ জন্মগ্রহন করে তখন নাচের নেতা শূন্যে দ্বিতীয় বার লাফ দেয়”। আমাদের আরো পমাণ আছে উত্তোলনের প্রাসংগিক ঘটনায় বিক্সেইয়ান এবং শ্লোভাকিয়ানদের তরবারি নাচে নাচের নেতা শস্য দেবতা রূপে “মৃত” এবং নাচুয়ে দ্বারা আড়াআড়ি মাথার উপরে উঠান হয় যেন শব, যখন তাকে নিচে নামান হয় তখন তার মধ্যে জীবন সঞ্চারিত হতে থাকে।

নেতাকে উত্তোলিত করার মত ইউরোপীয়ান তরবারি নাচের অন্য বৈশিষ্ট্যও ইউরোপের বাইরেও সমান সমান। প্রথমতঃ হালকা উদাহরণ ভক্তি প্রকাশক অংশ সুমাত্রায় সালাম হিসাবে প্রকাশ করে। তারপর কমকরে হলেও পূর্বতাধাপে রোজ, যেটা অন্য উদ্দেশ্যে হলে ও কিন্তু একই অর্থে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যারনজদের অস্ত্র নাচের মধ্যেও তার মূলশিল্প উপাদান হয়ত চিহ্নিত করা যাবে  লড়াই শেষে (এখানেও!) সকল নাচুয়ে গোল হয়ে তাদের ঢাল একসঙ্গে এমনভাবে ধরে যে সেটা বিরাট রিং তৈরী করে।

বর্ণিওদের প্রথা ইউরোপীয়ানদের প্রচলিত তরবারি বুনানী করার সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত যার মূলশিল্প উপাদান তরবারি একঙ্গে রাখা এবং তাকে ঘিরে নাচা প্রচলিত। ডুসানদের মধ্যে একক নাচুয়ে তরবারি ও খাপ মাটিতে ক্রস করে এবং সী-ডায়াকদের দুই নাচুয়ে তরবারি মাটিতে ক্রস করে রাখে ।

সিংহলের (বর্তমানে শ্রীলংকা) সিংহলীজদের গোলক ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত  প্রত্যেক নাচুয়ের দুটা কাঠি যেটা আমাদের ড্রামের কাঠর মত, যা দিয়ে নাচুয়ের নিপূণ মোচড় খাওয়ার মধ্যে সামনে পিছনে আঘাত করে। গঠনশৈলীর দিক্ থেকে যুতসই, দক্ষ কৌশলী, অবিশ্বাস্য রকমের সতর্ক, শক্তিশালী এবং খুবই মনোহরী ।

অঙ্গভঙ্গি (ফিগার) ক্রমাগত জটিল হতে থাকে, আরো উন্মত্ততা বৃদ্ধি পায় এবং নাচও তত ক্ষিপ্র উত্তেজিত হতে থাকে কিন্তুনাচুয়েগণ কখন অঙ্গভঙ্গি প্রয়োগ করতে অক্ষম হয় না এবং তারা কখন একে অপরকে আঘাত করে না। সবশেষে দেখা যায় শুধুমাত্র ঘূর্ণীয়মান শরীর এবং অনুনাদি কাঠের লাঠির সুনিপূণ ছন্দময় খটখট শব্দ শোনা যাচ্চে”।

ছয়জন পুরুষ এবং দুইজন মহিলা, একজন হাঁটু গাড়া ঘুংঘুর দিয়ে সাজান পুরুষকে ঘিরে নাচে; ইউরোপেও তরবারিরঘেরের মত সেই একই রকম হাঁটু গাড়া নাচের নেতাকে ঘিরে নাচে। উপসংহারে বলা যায় ইউরোপের মত আমাদের সালাম আছে।

সে যাই হউক, অস্ত্র-নাচের মধ্যে অনুকরণহীন চক্কর খাওয়া এবং অনুকরণাত্মক লড়াই ভাগে ভাগ করা খুবই সাধারণ ব্যাপার। এইভাবে, ফিজি, খাসীদের মধ্যে এবং রুয়ান্ডায় সাজান যায়। অঙ্গভঙ্গি (ফিগারে) অন্য সোর্স বা মাধ্যম থেকে এসেছে যা কাঠি নাচ ।

কাঠি নাচে ছোট কাঠি দিয়ে পরস্পর পরস্পরকে ছন্দময় আঘাত করে। এইগুলিকে দেখা যাবে লোয়ার ক্যালিফোর্ণিয়া, উত্তর-পূর্ব-ব্রাজিল, দক্ষিণ-সাগরে, অস্ট্রেলিয়ায় ও এশিয়ার যতদূরে পশ্চিমে থাক টগো এবং পশ্চিম-ইউরোপে।

এই বিশাল ভূ-খন্ডের মধ্যে বা সুপ্রাচীনত্বের দিকে নির্দেশ করে তা যে বৈশিষ্ট্যের হোক তারমধ্যে খুব প্রয়োজনীয় পার্থক্য পরিস্কার দেখা যায় যেটা দুটা কাঠি একজন বা দুইজন ধরে বা প্রত্যেকেই একটা কাঠি ধরে একে অপরের বিপরীতে আঘাত করে। লক্ষণীয় বৈপরীত্যের মধ্যে দুই স্তর বিদ্যমান : প্রথম টাইপ-দুটা কাঠি একজনে ধরে – এটা পুরান বলে ব্যাপকভাবে পরিব্যাপ্ত এবং নিম্নস্তরে কৃষ্টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

অন্য টাইপে—দুইজনের প্রত্যেকে একটা করে কাঠি ধরে-যেটা আরো কম পুরান – যেটা আমেরিকায় দেখা যাবে না কিন্তু পরবর্তী হাওয়াইদের উপজাতীয় কৃষ্টিতে, মাইক্রোনেশিয়ান দ্বীপপুঞ্জে, মালয়, পামির, টগো এবং ইউরোপীয়ানদের লোক-নাচে (প্লেট-১৫) সীমাবদ্ধ।

স্যাম্পার বর্ণনা করেন যে, মাইক্রোনেশিয়ার প্লাউ দ্বীপের আটজন নাচুয়ে খুব দক্ষতার সঙ্গে কাঠির মাঝখানে ধরে খুব বিচিত্র অঙ্গভঙ্গিতে ভেতরে বাইরে দোলায়, তাদের ছোট কাঠির দুই প্রান্ত দিয়ে পাশের দুই প্রতিবেশীর কাঠিতে খুব সমঝোতার মধ্যে সঠিকভাবে আঘাত করে।

ইউরোপীয়ানদের উদাহরণ ভিত্তি করে বিচার বিশ্লেষণ করলে, এইরূপ কাঠি নাচ, লড়াই খেলার ধারণা দিতে পারে। কিন্তু এটা বিরাট বিভ্রান্তি হতে পারে। আমাদের অবশ্যই মনে রাখা দরকার যে “একজন” কাঠিদ্বয় ধরে সেটা পুরান, যা অস্ত্র নিয়ে লড়াইয়ের ধারণার বাইরেঃ সেটা ছন্দময়তাকে তীব্র করে এবং কিছুক্ষেত্রে দক্ষ, মূলসূত্র; যেখানে হাত তালি দেওয়াকে তারা ছাড়ায়ে গেছে।

“দুইজনের” আঘাত করার কেন্দ্র মাইক্রোনেশিয়ায় নাচুয়েগণ প্রায় নিজেদের হাত জোড়া করে না। কিন্তু জটিল গঠনশৈলীর সিরিজের মধ্যে দিয়ে যাবার পথে পালাক্রমে অন্য নাচুয়েকে আঘাত (হাতে) করে।

কিন্তু এর মধ্যে আমাদের অস্ত্রের সঙ্গে যোগাযোগ হযে গেছেঃ অস্ট্রেলিয়ানগণ শুধু কাঠি একসঙ্গে আঘাত করে না, কিন্তু এটা সেই হুবহু একই পথে একই উদ্দেশ্যে যা তাদের বর্শা দিয়ে করে, ইয়াপে যুদ্ধ-নাচে কাঠিগুলি অস্ত্রের প্রয়োজন মিটায়, নতুন আয়ারল্যান্ডবাসীগণ একে অপরের বিরুদ্ধে হালকা কুঠারের আঘাত হানে এবং ক্যামেরুন এবং টোগোর ড্যাগবামাগণ কাঠির পরিবর্তে তরবারি দিয়ে আঘাত করে যদিও লড়াই করার কোন পরোক্ষ উল্লেখ থাকে না। এটা সম্ভবতঃ জার্মানদের ল্যান্ডেসভেটারে শিক্ষানবীশ সংঘের সদস্যদের ব্লেড দিয়ে আঘাত করা।

অস্ত্র সময়কে অতিক্রম করে যায়। হাতের কাছে যখন পরেরটা (কাঠি) পাওয়া যায় না এটা কাঠির বিকল্প হিসাবে কাজ করে অথবা যখন কেউ ধাতুর কারণে এটা থেকে শক্তিশালী কার্যকারিতা পেতে আগ্রহী হয়। এই শক্তিশালী কার্যকারিতার প্রশ্নে যখন ছন্দময় তাল সম্পূর্ণ আবেগময়তার সঙ্গে বশীভূত হয় এবং সমস্ত নিয়ন্ত্রিত গন্ডোগোল দৈবশক্তির প্রতিরোধে একত্রিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়।

এখন এটা পরিস্কার যে, কেন ইউরোপীয়ান তলোয়ার কাঠের কাঠির চারদিকে ঘুরে এবং ইচ্ছামত তলোয়ার অদল বদল করে। একই সময় এটা পরিস্ফুটিত যে, বিভিন্ন বৈচিত্রময় কৃষ্টির বস্তু তলোয়ার নাচে একত্রিত হয়েছে। নিম্নলিখিত তালিকায় মূলশিল্প উপাদনের প্রধান বৈশিষ্ট্য তালিকাভুক্ত করা যেতে পারেঃ

বৈশিষ্ট্য তালিকাভুক্ত করা যেতে পারেঃ

১। লড়াই খেলা

২। অস্ত্র দৈবশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ

৩। অস্ত্র পুরুষাঙ্গের প্রজনন ক্ষমতার

৪। কাঠির খেলা

৫ । আকৃতির নাচ

এক থেকে তিন নম্বর পর্যন্ত বিচারপূর্বক তাদের তাৎপর্য এবং ব্যাপ্তি থেকে এইগুলির মূলশিল্প উপাদান পুরাতন, চার এবং পাঁচ নম্বর তুলনামূলকভাবে নতুন, বিশেষ করে পাঁচ নম্বর গঠনশৈলীর দিক্ থেকে সবগুলির মধ্যে বিরাজমান। পিগমিগণ এরই মধ্যে অনুকরণাত্মক লড়াই খেলায় উন্নত হয়েছে; সুতরাং এইগুলি প্রটোনিওলিথিক অথবা মধ্য মৌলিক কৃষ্টির স্তরের অন্তর্গত।

কাঠি খেলার সূচনা এই একই লেভেলের পর্যায়ভুক্ত। মিওলিথিক স্তরের টোটেম কৃষ্টি থেকে যাদুটোনার সমৃদ্ধির কাল হিসাবে গণনা করা উচিত। তারপর সেখানে একটা বিরাট গ্যাপ থাকে : গোলক তৈরীর ফিগার এবং দুইজনের কাঠি খেলা সম্পূর্ণভাবে নিওলিথিক এবং পরবর্তী উপ-জাতীয় কৃষ্টির কালের আওতাভূক্ত।

 

উভয় ধরনকে অতিক্রমণ অস্ত্র নাচ

 

একটা অস্ত্রের মধ্যে দিয়ে এবং অপরটি কাঠির মধ্য দিয়ে এই দুইরূপে একত্রিত হয়। আমরা ধরে নিতে পারি যে, তারা এক পয়েন্টে মিলেছে যেখানে অস্ত্র কোনভাবে ঢোলের কাঠির আকৃতি নিয়েছে। ধনুক, বর্শা, বল্লম ছোট কাঠির মতন ছাড়া আর কিছু না তবে তলোয়ারকে এককভাবে বিবেচনা করতে হবে। এইরূপে এদের সাক্ষাৎ পাওয়া যায় ধাতু-যুগে।

আকাশ ঘিরে তারাদের নাচ, স্থির নক্ষত্রের সম্পর্কযুক্ত গ্রহদের অবস্থান,

সুন্দর সুষমায় এবং সঠিক সমন্বয়ে তাদের প্রতিটি গতিময়তা

এই সকল কোন মৌলিক নাচের ছবি ছাড়া আর কি হতে পারে!

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment