প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বানী

বিশ্বের সকল নৃত্যশিল্পী, উদ্যোক্তা, পৃষ্ঠপোষককে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা !
আমাদের সাংস্কৃতিক উদ্যোগগুলোতে আপনার আগ্রহের কারণে আমার কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ।

আপনারা হয়তো ইতোমধ্যে জেনেছেন, আমরা ইয়ুথ গ্লোবাল ফাউন্ডেশন থেকে, গুরুকুলের আর্ট কালচারের ১৪ টি প্লাটফর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করছি।
তার মধ্যে নৃত্য একটি।

নৃত্য আমাদের সাংস্কৃতির একটি প্রাচীনতম উপদান। এই শিল্পের একটি বৃহৎ নান্দনিক এবং প্রতীকী মূল্য আছে। এত গুরুত্বপুর্ন একটি শিল্প অথচ দারুণ ভাবে অবহেলিত ছিল। বিশেষকরে আমাদের দেশে। সামাজিক বাধা আর নিম্ন পারিশ্রমিকের কারণে নৃত্যশিল্পীর সংখ্যা আমাদের দেশে আঙ্কাজনক ভাবে কমেছে।

তবে বর্তমানে নানাবিধ মাধ্যমের কারণে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি নৃত্য নির্দেশক সহ নানাবিধ পেশায় ভালো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। মোধা ও রেয়াজ থাকলে দেশের বাইরে কাজ করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

আমরা এই প্রচীন শিল্পটি সম্মানের সাথে আমাদের মাঝে জিবীত রাখতে এবং নতুন শিল্পী, গবেষক তৈরিতে কাজ করতে চেষ্টা করছি। এই প্রক্রিয়াতে আমরা আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব অবদান রাখতে চাইছি।

আমাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের নৃত্যশিল্পী তৈরি করা।
সেই সাথে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের সামনে আমাদের নৃত্যশিল্পীদেরকে তুলে ধরা।

এজন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি নিয়মিত অনলাইন ক্লাস ও টিউটোরিয়ালের।
যেগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা নৃত্যশিল্পের টেকনিক গুলো খুব সহজে রপ্ত করতে পারবে।
নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিশেষ অনুরোধেও ক্লাস তৈরি হচ্ছে।
তৈরি হচ্ছে অভিনয়ের নানা রকম পারফর্মেন্স।
আর এই সব কিছুই ফ্রি, আমাদের পক্ষ থেকে উপহার।

আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই – আমরা পেশাজীবী নৃত্যশিল্পী তৈরির জন্য, এবছর থেকে অভিনয়ে একটি বাৎসরিক বৃত্তি দেব।
যার অর্থমূল্য আড়াই লক্ষ টাকা। এই অর্থ শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় কোর্স, তালিম বা গবেষণা করার জন্য দেয়া হবে।

যারা সিরিয়াস নৃত্যশিল্পী হতে চান, এরকম অনেক মেধাবী ছেলে/মেয়েদের সঠিক তালিম পাবার ব্যবস্থা নেই। কেউ হয়তো সেতার বিষয়ক কোন গবেষণা করতে চাচ্ছেন, সেটার জন্য ফান্ড নেই।
এমন প্রার্থীদের জন্যই এই বৃত্তি।

আমাদের ঘোষনাগুলোর দিকে নজর রাখুন। সেখানে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করুন।
আপনাদের আবেদন, আমাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেল যাচাই বাছাই করে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন।

নতুন শিল্পী তৈরির পাশাপাশি আমরা বিশ্বাস করি গুণীর কদর না করলে গুণীর জন্ম হয় না।
তাই আমরা প্রতি বছর বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পীদের মধ্য থেকে একজনকে সম্মাননা প্রদান করবো।
সম্মাননার সাথে ২ লক্ষ টাকা পরিমাণ অর্থ দেয়া হবে।
আমাদের গুণী শিল্পীদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া আপনারাও যদি মনে করেন এমন যোগ্য কারও নাম আমরাদের দৃষ্টির বাইরে আছে। তার নাম আমাদের আর্টিকেলের নিচে কমেন্ট বা সামাজিক মাধ্যমে মেসেজ দেবার মাধ্যমে প্রস্তাব করতে পারেন।

আশা করি আমাদের সবার চেষ্টায়, বাংলাদেশ থেকে অনেক আন্তর্জাতিক মানের নৃত্যশিল্পী, গবেষক তৈরি করতে পারবো। যারা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবেন।

আপনার পরিচিত আগ্রহীদের এই বার্তাটি পৌঁছে দেবার অনুরোধ রইলো।

সবাই ভালো থাকবেন।

 

 

শুভেচ্ছান্তে,

ড. সীমা হামিদ

প্রধান পৃষ্ঠপোষক, নৃত্য গুরুকুল

সাভাপতি, ইয়ুথ গ্লোবাল ফাউন্ডেশন

Leave a Comment