আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – চারণ-কবি পূর্ব কাল।যা “যুগ যুগব্যাপী নাচ” খন্ডের অন্তর্ভুক্ত।
চারণ-কবি পূর্ব কাল
একাদ্বশ শতাব্দীর ব্রাভারিয়ান অনুরাগ-নাচ ছাড়া আমাদের চারণ কবি পূর্বকালের কোন প্রত্যক্ষ প্রমাণ নাই যা পরবর্তী অধ্যায়ে আলোচিত হবে। আজকের প্রাচীন উত্তর দ্বীপপুঞ্জের, আইসল্যান্ড ও ফিরোইসদের নাচ অপ্রতাক্ষ্য প্রমাণ রূপে সেই অভাব পূরণ করে ।
তাদের মিউজিক দ্বিতীয় সহস্রাব্দের অনেক পালার বৈশিষ্ট্য সমূহ সংরক্ষিত করেছে। উত্তর (অঞ্চলের) জগতের নাচসমূহ যৌক্তিকতা ছাড়াই মহাদেশের চারণ কবি পূর্বকালের প্রতিফলন ও ধ্বংসাবশেষ বলে বিবেচিত হয়। যদি এটা এইরূপই হত, দরবারী নাচের বিশেষ প্রয়োজনীয় অংশে কোন ঘাটতি পরিলক্ষিত হত না, বিশেষ করে ঐ অংশগুলি যেটা অদ্ভুত প্রকৃতির দরবারী নাচের আদর্শের পরিপ্রেক্ষিতে শুধুমাত্র ব্যাখ্যা করা যায় ।
নরওয়েজীয়ান ইনব্রোট এবং মিডিল হাই জার্মান কবিতার Rimpfenreie-ফিরোইগণ পরিচিত শুধুমাত্র শিকল-নাচ দিয়ে যা নারী-পুরুষ ভেদে অবস্থান নেয়, হাতে হাত রাখে, গোল করে, অথবা অপরিসর স্থানে ডিম্বাকৃতি করে। ষোড়শ শতাব্দীর ব্রেইনলে যা এখনও করা হয়, বাম পা দুইবার সামনে রাখা হয় এবং ডানপাকে এটা পর্যন্ত টেনে আনা হয়; তারপর ডানপা পিছনে ধাপ নেয় অথবা পার্শ্বের দিকে এবং বাম এমনভাবে অনুসরণ করে যে ভঙ্গিমা বামদিকে মোড় নেয় ।
সেখানে কখন কখন লম্পঝম্প থাকে। তাৎপর্যময় গানের সময় হাত কোমর সমান থাকে, হাল্কা ও প্রাণবন্ত গানের সময় কাঁধ বরাবর থাকে । এই গানগুলি -গাঁথাকাব্য যুগ্মভাবে অর্থ হয় নাচেরগান ও বীরত্বপূর্ণ গল্পরূপে সর্বদা গাওয়া হয়। কোন বাজনা বাজান হয় না।
এক ব্যক্তি গাঁথা গায় অন্যেরা গানের ধুয়া ধরে। প্রায় প্রায় যখন প্রধান গাঁথা গায়, তারা এক জায়গায় নাচ করে এবং শুধুমাত্র গানের ধুয়া গাওয়ার সময় ঐ একই স্থানে স্থির থাকে। এখানে অবশ্য, নাচের উপর সব গুরুত্ব না দিয়ে বরং গানের বিষয়বস্তুর উপর থাকে এবং পা ও বাহুদ্বয় ঘনিষ্ঠভাবে এর রস অনুসরণ করে। আদি জনগোষ্ঠীর মত এক রকম লিঙ্গের নাচ পুরুষগণ বা নারীগণ এককভাবে করে মনে হয় পূর্বপ্রভাবান্বিত।
আইসল্যান্ডের বেলায় একই রকম সত্য শুধুমাত্র ডান পা মাটিতে রেখে ধড়কে সামনে পিছনে দোলানর বিশেষ বৈচিত্র আমার লক্ষ্য করতে পারি। উভয় অঞ্চলে সংঘবদ্ধ নাচ পরিচিত, কিন্তু বিচ্ছিন্ন যুগলের নাচ না যেটা উদ্ভব হয়েছে চারণ করি পূর্বকালের কর্টেজিয়া (Cortezia) থেকে।
তাদের নাচ দরবারী নাচের পূর্বকালের। প্রায় দ্বাদশ শতাব্দীর ডেনিশ গাঁথার আলোকে মধ্যযুগের উত্তর অঞ্চলের নাচ চারণ কবি কৃষ্টির স্মৃতিস্তম্ভ না কিন্তুতারচেয়ে চারণ কবিকালের প্রকৃত দরবারী-জীবন গঠনের সন্ধিক্ষণ। নাচে অংশগ্রহনকারী ও বিন্যাস দরবারীসুলভ সেটা তাৎপর্যময় না।
অবশ্য গাঁথা সর্বদা যশস্বী, বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তিত্বের উপর ঐতিহ্যের পূর্ণ আলোকপাত করে কিন্তু অখ্যাত কৃষক বা বণিকের সঙ্গে করে না। কিন্তু বৈষম্য অধিক স্পষ্ট হলেও বিশেষ কারণের জন্য পরিস্থিতি ও অংশগ্রহনকারী চারণ কবিদের নাচের মত একইরকম হয়। মূল শিল্পউপাদানের পার্থক্যকরণ হল, যৌনতাকে চিন্তা, প্রতীক, ক্রীড়া ও শিষ্টাচারের কাছে অবনত করা এই মূল শিল্পউপাদানের অভাব সম্পূর্ণ ভাবে আছে।
আদিম লোকজনের মত সম্পূর্ণ নাচ বিরামহীন ও অপ্রাসঙ্গিক। নাইট যুবতীকে হাত দিয়ে আলতোভাবে জড়ায় না বা তার প্রতি দোলান ওড়না জড়ায় না। কিন্তু সে তাকে তা উত্তপ্ত ফারের মধ্যে ঢেকে নেয়। প্রায় প্রায় এই রকম ঘটে যতটুকু স্থান করে নেয়া যায়; যেমন আদিম মানুষেরা করত যুগলদ্বয় নাচের আসর থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে যেত এক নির্জন কোণায়।
প্রসঙ্গক্রমে কোন নাইট তার বোনকে রাজার আমন্ত্রণ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে রাজা শক্তিপ্রয়োগে তা দখল করে, কেননা এটা তার জন্য শোভা পায় না যে, নাচে সে নিজেকে আরো অধিক নীচু সংস্পর্শে নিয়ে যায়। এটা প্রধানতঃ রাজকীয় মর্যাদার মহিলাদের চেয়ে আমরা শুনি কর্মচারীর মেয়ের নাচে অংশীদার হওয়ার কথা। চারণ কবিদের আত্মচেতনায় কিছুই কম না ।
সেই আকৃতি তুলনা করলে ফিরোইসদের মত একই রকম। এটা মনে হয় সম্পূর্ণরূপে মুক্ত বা কেন্দ্রীভূত শিকল-নাচগুলির মত গঠিত; সেখানে বিচ্ছিন্ন যুগল-নাচের কোন প্রশ্ন নাই । পাশাপাশি যে সমস্ত নাচে পুরুষেরা অংশ নিত তা নারী-পুরুষ উভয়ে অংশ নেয় এবং শুধু নারীগণ যে নাচ করত তা অন্য লিঙ্গের নাচের প্রধান নেতৃত্ব দেয়। হাঁটা, ধাপদেয়া এবং লাফান হল অঙ্গ-ভঙ্গি।
গেয়ে সঙ্গত করা হয় কখন (বেহালা) বাজান হয় না। এখানে আমরা চারণ কবি কালের প্রচলিত প্রথার বৈপরীত্য পাই ডেনিশ গাঁথা-নাচের মধ্যে Folkevisedance এই চারণ কবি পূর্বকালের সংঘবদ্ধতা বর্তমান সময়েও অপরিবর্তীত আছে ।ভেঙ্কীবাজ সমাজের একক নাচ এই জনপ্রিয় সামাজিক নাচ থেকে তীক্ষ্ণভাবে পার্থক্য করা যায়। এটা একটা সর্বশেষ বর্দ্ধন এবং একই সময় পুরান ধর্মীয়-নাচের অপবিত্রকরণের প্রতিধিত্ব করে।
এমনকি যতদূর যাওয়া যায় সেই প্রাচীন কাল থেকে মধ্যযুেেগ উত্তরণে আমরা দেখতে পাই একনিষ্ঠ নারীদের নগ্ন নাচ বিকৃত হয়ে বিকৃত লম্পট্য প্রদর্শনীতে রূপ নিয়েছে। একাদ্বশ শতাব্দীতে ঘটনাপুঞ্জীর লেখক, এখানে ভন ব্রিমেন অভিযোগ করেন যে, ইন্দ্রিয়পরায়ণ নারী নাচুয়েগণ অশালীন অঙ্গ-ভঙ্গির সাহায্যে লোকদের মনোরঞ্জন করে। পবিত্রউর্বরা যাদুমন্ত্র তার তাৎপর্য হারায় ।
নবম শতাব্দীতে পেশাদার প্রদর্শনীর নাচ এসফের ছবিতে বিবৃত, ডেভিডের বাদক, যেটা স্তোস্ত্র গ্রন্থের ক্ষুদ্রচিত্রে পরিলক্ষিত হয় উল্লেখযোগ্য হল প্যারিসের চার্লস দি বলড়ে অপ্রচলিত (বর্তমানে) তারের বাদ্যযন্ত্র বিশেষের মধ্যে ও সেন্ট-গল মঠে Psalterium Aureum এর মধ্যে।
এখানে যে লাট্টু-নাচের নির্দেশনা আছে তা প্রায় পরবর্তী কালে আরো সুস্পষ্টভাবে গল্পে বিবৃত হয়ে আছে জন দি ব্যাপ্টিষ্ট ও স্যালোমের মধ্যে। দ্বাদশ শতাব্দীর স্তম্ভশীর্ষের ভাস্কার্যে অতিবসৌন্দর্যময় স্যালোম নাচ পরিলক্ষিত হয় টাউলাসের সেন্ট-উটিনীর মধ্যে যেটা এখন শহরের যাদুঘরে আছে।
বাম পা ডান পা ক্রস করে আছে, উভয় আঙ্গুলের অগ্রভাগ উভয়ে উভয়কে স্পর্শ করে পাদ্বয় ভিতরে ঘুরে আছে, ধড় ডান দিকে ঘুরে আছে এবং মাথা এটাকে আরো অধিক নিয়ে যায়, ডান পায়ের ধনুক আকৃতি এবং মাথা এমন কৌণিক অবস্থানে রাখা হয় যে উভয়ে নব্বই ডিগ্রীর বেশীতে অবস্থান করে । এই অভ্রান্ত গোলাকৃতির ভঙ্গিমা তরঙ্গায়িত অবগুন্ঠনের মধ্যে জোর দিয়ে প্রকাশিত হয়।
অন্যান্য ভাস্কর্যে প্রায় দেখা যায় জন দি ব্যাপ্টিষ্ট গল্পের অনুরূপ যেমন সেখানে পেশাদার নাচ ও খাঁটি এক্রোব্যাটিকের মধ্যে কোন বিভক্তির রেখা নাই।ভেরোনাতে স্যান জেনোর ব্রোঞ্জ দরজায় স্যালোমের মত বার্ণসউইকের এয়োদশ শতাব্দীর গীর্জার ভাস্কর্যে “ব্রীজ” থেকে বেহালা বাজনার শব্দ পর্যন্ত আকৃতি পায়। দ্বাদশ শতাব্দীর টাউলাসে খিলানস্তম্ভের এ্যাক্রোব্যাটিকে সেই একই রকম দেখা যায়।
নরম্যানডির সেন্ট জর্জ- ডি-বচার ভিল গীর্জার স্তম্ভশীর্ষে ও দ্বাদশ শতাব্দী থেকে সঙ্গত বাদ্যযন্ত্রের মস্তকশীর্ষে এবং কখন কখনতলোয়াড়ের মধ্যে যে বিপদজনক নাচের প্রস্তুতিতা চলে আমরা এর মধ্যে আলোচনা করেছি। মিশর ও গ্রীসেরপ্রাচীনত্ব থেকে এই সকল মূল শিল্পউপাদান সম্বন্ধে আমরা পরিচিত।
কিন্তু মধ্যযুগীয় ভেল্কীবাজ-নাচুয়ের বংশানুক্রমিক প্রয়োজনীয় কাষ্ঠখন্ড আরো সুদূর অতীতে নিহিত – ঐ সকল সনাতন জনগোষ্ঠী উন্নয়ন ঘটায়েছে স্বপ্নচারী, ধর্মীয়-হর্ষোল্লাসজনক এ্যাক্রোব্যাটিক নাচকে বিপদসংকুল ভোজউৎসবের প্রাণবন্ত প্রদর্শনীতে।
বিখ্যাত ম্যানসী চারণ কবির পান্ডুলিপির মধ্যে অন্য চিত্রগুলি যা সবচেয়ে স্পষ্ট তাতে দেখা যায় প্রাণবন্ত হাতের ও আঙ্গুলের খেলা NEUMAS MANIBUS, যে কথা Rudlieb কবি অনেকবার বলেছেন এবং যা জার্মান জাতিগত বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে।
এমনকি ১৫৯৮ খৃষ্টাব্দে প্রায় তিন বা চারশত বৎসর পর, এনহ্ল্ট-কোথেনের যুবরাজ লুডউইগ বিস্মিত হন যে, ভেল্কীবাজের হাত ফ্লোরেন্সে যে ভাবে নাচে তদরূপ জার্মানীতে নাচে না। এটা উত্তর পশ্চিম অঞ্চলীয় প্রকাশ উন্মুখ হাত-নাচ যার প্রত্যক্ষজ্ঞান আমরা ইন্ডিয়া ও পলেনেশিয়ান জগতে পাই এবং যা প্রাচীনকালের মূখাভিনয়ের প্রত্যক্ষ উত্তরাধিকার।
যাইহোক, একত্রে এইসকল সম্পদ হাতে পাওয়ার সঙ্গে আমাদের আরো আছে তাৎক্ষণিক প্রাচ্যদেশীয় পেশাদার নর্তকীদের প্রভাব-প্রতিপত্তি, সেইরূপ ঐ সকল সম্রাট যেমন ফেড্রিক (২য়) প্রাচ্য থেকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন এ্যাক্রোব্যাটিক চাতুর্য ও মোচড়-নাচ তাঁর অতিথিদের আপ্যায়ন করার জন্য। দ্বাদশ শতাব্দীর ফ্লোরেনটাইন জাতীয় যাদুঘরের মহামূল্যবান গজদন্তের খোদাই করা অদ্ভুত ছাপ এই আর্ট ধারণ করে আসছে ।
এটা কিন্তু সব সময় একটা ক্ষণস্থায়ী ভেল্কীবাজদের জগতের প্রসঙ্গ যা ভাস্কর্যের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এবং কুমারী মেরীর একটা প্রাচীন ফরাসী কিংবদন্তীর কাহিনীর যা আছে তার আংশিক জ্ঞানে আমারেকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে, প্রায় ১২০০ অব্দে DEL TUMBLEOR NOSTRE DAME (THE TUMBLER OF OUR LAD হতে আমাদের জন্য সুন্দরভাবে সংরক্ষিত একজন বৃদ্ধ চারণ কবির সুন্দর গল্প যেটা হল গিয়ে একজন গেতে ও পড়তে অসমর্থ, সে তার হর্ষোল্লাসজনক শ্রদ্ধা সম্পাদন করে মাতৃদেবীর মূর্তির সামনে নাচের মধ্যে, যতক্ষণ না সে পরিশ্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটায়ে পড়ে যায়।
একশত বিশ পংক্তি তার নাচে শ্রদ্ধা জানালেও কিন্তু dancier শব্দ কোনভাবেই উল্লেখ নাই। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় সেই সময় যুগলের নাচ বা সমাজের নাচ একই অর্থ হত একটা নাচ। Tumer, treper, sauter যে শব্দ ছিল তা সে কি করে তার জন্য ব্যবহৃত হত।
Treper পুরান নোর্স (Old Norse) থেকে অর্থ দড়ি-লাফ (skep)- al fure de cavrecon Qui trepe at saut devantesa mere, “যেমন বাচ্চা দড়ি-লাফায়ও লম্পঝম্প করে তার মায়ের সামনে”। Tumer তর্জমা করা আরো কঠিন। বোহেম (Boehme) যে অন্য সোর্সে এই শব্দ পেয়ে তর্জমা করছে এইরূপ “একটা ঘেরের মধ্যে চলা” এবং ঝোঁকের মাথায় কোনভাবে প্রাচীন ধরনের নাচের সঙ্গে পরবর্তী দরবারী নাচ চিহ্নিত করে। umgenden (চক্কর নাচ)।
এটা প্রশ্নের বাইরে; tumon হল দরবারী নাচের বিপরীতে সর্বশেষ আকৃতি যেটা সত্য, ওল্ড হাই জার্মান stem tumon অর্থ ঘুরা “ঘেরের মধ্যে না যাইহোক, কিন্তু তার চেয়ে “চারদিকে ঘুরা”। সম্পর্কযুক্ত tumba ওল্ড নোর্সে অর্থ হয় “মাটিতে পড়ে যাওয়া” এবং রুমানিয়াতে ডিগবাজি এবং এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ইটালীর tombolare,“ডিগবাজি দিয়ে ঘুরা”।
এসম্পর্কে আমরা মনে করতে পারি জার্মানরা ডলফিনকে যা আচমকা পানি থেকে লাফ দেয় তাকে বলে Tummler কুমারীর কিংবদন্তীর কাহিনী প্রমাণ করে যে আমাদের তর্জমা বা অনুবাদ সঠিক।
ভেল্কীবাজদের জন্য ঘুরা স্পষ্ট দেখা যায় উপরভাগ নিচে দিয়ে : Lors tume les pies contremont Et vasor ses mains সে তার পা উপরে তুলে দুই হাত দিয়ে হাঁটে, যেমন অনেকসময় ক্ষুদ্রচিত্রে দেখ যায়। বিরতীর সময় সে মূর্তির চারদিকে ঘিরে নাচে । এইসকল মূর্তিকে ঘিরে নাচার আঞ্চলিক ডাকনাম tors আছে, যেমন branles আছে পরবর্তীতে de Mes (Metz), de Champenois, de Espaigne, de Bretaigne, de Loheraine, ramain সতিকার বলতে গেলে branles ও ঘুরা বুঝায়।
এটা কি জনপ্রিয় সংঘবদ্ধ নাচের সেই পার্থক্যকৃত পদক্ষেপ যা ভেল্কীবাজগণ প্রয়োগ করে থাকে? Et les tors-C’on fai en Bretaigen কবিতাটি তাদের কে ডাকে। তারা কোথায়, সম্ভবত এক ধরনের triori অথবা Passepies? এবং branles এর পরে শিষ্টাচারের জন্য সে হয়ে উঠে সম্পূর্ণ শান্ত, নাচে mignotement এবং সে তার হাত কপালে রাখে- Et met devant sen front sa main. কবি সেখানে একটা মাত্র নাচের শব্দ baler ব্যবহার করে।
আমরা লক্ষ্য করি যে, ইউরোপীয়ান জনপ্রিয় ও সামাজিক নাচের বিপরীতে ভেল্কীবাজদের নাচ অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রসারিত বা ছাড়ান । এটা প্রদর্শনী নাচের প্রাথমিককাল থেকে নিঃস্বন্দেহে জাগরিত হয়েছে যখন দেহ সৌষ্ঠব, শক্তি, নমনীয়তা ও দৈহিক-মানসিক নৈপূণ্য নাচের লক্ষ্য ও বিষয়বস্তু ছিলো।
এটা দেখতে কি আনন্দের ব্যাপার না কেমন করে এই নৈপূণ্য একদা নাচের সীমায় যেটা হারায়েছে ধর্মীয়নাচের গুরুত্ব ও শ্রদ্ধাভক্তি, এখানে ফিরে যায় পুরান ধারার সঙ্গে পূজারী কুমারীর ভক্তিময়তায়?
আরও দেখুনঃ